• ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | ২১ আশ্বিন ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

ব্রাজিলে এক মন্ত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে আরেক মন্ত্রী বরখাস্ত

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্রাজিলে এক মন্ত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে আরেক মন্ত্রী বরখাস্ত

ব্রাজিলে এক মন্ত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে আরেক মন্ত্রী বরখাস্ত

যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্রাজিলের মানবাধিকার মন্ত্রী সিলভিও আলমেইডাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার এক সদস্যসহ একাধিক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। শাস্তিস্বরুপ পদ হারালেন তিনি।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির এমন সব অভিযোগ উঠেছে যে প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা মনে করছেন, তাকে আর দায়িত্বে রাখা নৈতিকভাবে উচিত হবে না। তাই তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ এমনকী আলমেইডার বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়।

জানা গেছে মানবাধিকার মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত ছিলেন আলমেইডা। সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতেন তিনি। তিনি তাদের আইনি সুরক্ষা পেতে সাহায্য করে থাকেন।

বরখাস্ত হওয়ার পর মুখ খুলেছে আলমেইডা। এক বিবৃতিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তার (আলমেইডা) নিজের কথায় বরখাস্ত করা হয়েছে তাকে। তিনি প্রেসিডেন্ট লুলাকে বলেছিলেন তাকে বরখাস্ত করতে। ‘স্বাধীন’ তদন্ত নিশ্চিত করা যায় তাই তিনি বরখাস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে জানিয়েছেন আলমেইডা। জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়।

আলমেইডা আরো জানিয়েছে, ‘এটা আমার জন্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা এবং নিজেকে পুনর্গঠিত করার সুযোগ হবে, বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসতে দেয়া হোক, আমি যেন আইনি প্রক্রিয়ায় আত্মরক্ষা করতে পারি।’

পাশাপাশি আলমেইডাকে সমর্থন করেছেন লুলার মন্ত্রিসভার একজন মানবাধিকার কর্মী ফ্রাঙ্কো। অন্যদিকে, এই নিয়ে প্রেসিডেন্ট লুলা স্থানীয় একটি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘হয়রানি করেন—এমন কেউ সরকারে থাকতে পারবেন না।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সরকার গঠনের সময় থেকেই লুলার মন্ত্রিসভায় নিযুক্ত হয়েছিলেন আলমেইডা ফ্রাঙ্কো। দুজনেই দেশে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচিত রয়েছে। তবে আপাতত তদন্ত চলছে। তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তার পদ পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান