• ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

মিরাজকে প্রশংসায় ভাসালেন লিটন-শান্ত

প্রকাশিত: ১৪:২১, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিরাজকে প্রশংসায় ভাসালেন লিটন-শান্ত

মিরাজকে প্রশংসায় ভাসালেন লিটন-শান্ত

বল-ব্যাট হাতে পাকিস্তানের মাটিতে যেন রাজত্বই করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টেস্ট সিরিজের দুই টেস্টে সবমিলিয়ে ১৫৫ রান করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার। একইসঙ্গে বল হাতে নিয়েছেন ১০ উইকেট। এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তার হাতেই উঠেছে সিরিজসেরার পুরস্কার।
টেস্টের গতিপথ পরিবর্তনের মুহূর্তটি যে মিরাজের ব্যাট ধরেই এসেছিল, সকলকে তা জানিয়েছেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬ রানে সফরকারীদের ৬ উইকেট পতনের পর এই দুজন সপ্তম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ১৬৫ রান যোগ করেন। পঞ্চাশ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এত বড় জুটি আগে কখনো দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব।

১৩৮ রান করার পাশাপাশি উইকেটের পেছনে ম্যাচে ৬ ডিসমিসালে ম্যাচসেরা লিটন দাস তার সতীর্থ মিরাজকেই দিলেন কৃতিত্ব। পুরস্কার বিতরণী পর্বে তিনি বললেন, আমি আর মিরাজ শুধু লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। সে একটি চার এবং একটি ছক্কা মেরেছিল। তারপরে খেলার গতি পরিবর্তন হয়।’ 

মিরাজ যখন ব্যাটিং করছিল, তখন ৫ কিংবা ৬টা বাউন্ডারি মেরেছিল। এটা আমাদের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছিল। আমরা কেবল প্রতিপক্ষের ছন্দকে শেষ করে দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। কারণ তাদের জন্য সেই সময়টা ভালো ছিল। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর আমরা নির্দ্বিধায় গিয়ে শুধু ব্যাট করে গিয়েছি।

প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ জয় পায় ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে। সেই জয়ে বড় অবদান রেখে মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে বল-ব্যাট উভয় হাতেই ত্রাতার ভূমিকা নেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট, তার ব্যাটে আসে ৭৮ রান।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠেও ঝরেছে মিরাজকে নিয়ে প্রশংসা। খেলোয়াড় হিসেবে দলের জন্য তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটিও সবাইকে জানিয়ে দিলেন। রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশনে তার বোলিংটা দলের জন্য কার্যকরী ছিল বলেও টাইগার কাপ্তান মনে করেন।

এমন কন্ডিশনে প্রথম ইনিংসে যেভাবে উনি যেভাবে বোলিং করেছেন, পাঁচ উইকেট নিয়েছেন, এটা নজরকাড়া ছিল। আগেও বলেছি, কোচদের সঙ্গে অনুশীলনে তিনি যেভাবে শেষ কয়েকদিন কথা বলেছেন ও কাজ করেছিলেন, আসলেই তা দেখার মতো ছিল। 

এদিকে, সিরিজসেরা হওয়ার গর্বের মুহূর্তে মেহেদী মিরাজ স্মরণ করলেন অন্য এক বিজয়ীকে। যিনি বাংলাদেশে হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নিহত হয়েছিলেন। যে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হয়েছে দেশে ক্ষমতার পালাবদল। তার আগেই আন্দোলনের সময় নিহত হন এক রিকশাচালক।

টাইগার এই অলরাউন্ডার ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন। সেই অর্থ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মিরাজ বলেন, ‘ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এক রিকশাচালক আহত হয়েছিলেন, পরে তিনি মারা যান। পুরস্কার হিসেবে পাওয়া অর্থ তার পরিবারকে দেবো।’