• ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা, প্রেমিকের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১১:১৫, ১ মে ২০২৪

বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা, প্রেমিকের যাবজ্জীবন

বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা, প্রেমিকের যাবজ্জীবন

নরসিংদীর মাধবদী উপজেলায় বিয়ে করতে বলায় প্রেমিকা খাদিজা বেগমকে হত্যার দায়ে প্রেমিক দীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে এ রায় প্রদান করেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট অলিউল্লাহ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত খাদিজা বেগম মাধবদীর একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বামী সন্তান না থাকায় খাদিজা বেগম মাধবদী এলাকায় ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। কাজের সুবাদে দীন ইসলাম নামে এক শ্রমিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে খাদিজার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন দ্বীন ইসলাম। এরই মধ্যে খাদিজা বিয়ের জন্য দ্বীন ইসলামকে চাপ দিলে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মতবিভেদ দেখা দেয়।

২০১৮ সালের ১৩ মে খাদিজার বাসায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা আলিমুন্নেছা মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত ও মোবাইল ট্র্যাকিং করে প্রেমিক দ্বীন ইসলামকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর দ্বীন ইসলাম হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেন। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক অভিযুক্ত প্রেমিক দ্বীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট অলিউল্লাহ জানান, নিহত খাদিজার বিয়ের কিছুদিন পরই তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কাজের সুবাদে মাধবদী থাকতেন তিনি। পরে দীন ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলেই বিপত্তি দেখা দেয়। ২০১৮ সালের ১৩ মে বাসায় এসে খাদিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান দীন। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত দ্বীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।