• ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Shongbad Protikshon || সংবাদ প্রতিক্ষণ

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই নওগাঁয় পাঠদান শুরু

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই নওগাঁয় পাঠদান শুরু

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই নওগাঁয় পাঠদান শুরু

নওগাঁয় তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় বন্ধ রয়েছে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি করানো হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীদের দিয়ে কোন কাজ করানো হচ্ছে না। 
রোববার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখা গেছে। পিঠে স্কুল ব্যাগ নিয়ে ছুটছে স্কুলে। সঙ্গে ব্যাগে রাখা হয়েছে পানির বোতল। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় একদিকে যেমন ক্লাসে যাওয়ার তাড়া, তেমনি রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও।

বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, শ্রেণিকক্ষে ফ্যানের ব্যবস্থা আছে। তবে ওপর থেকে যে গরম নামছে এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে ক্লাস করতে গিয়ে শরীর ঘেমে যাচ্ছে। ঘাম শরীরে বসে যাচ্ছে। এতে সর্দি লাগছে। ক্লাস করার সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে অসহনীয় গরমে আরো সমস্যা বাড়ছে। গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হচ্ছে।

অভিভাবক মরিয়ম বেগম বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা পড়াশোনায় মনযোগী হচ্ছে না। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর চালু হওয়ায় স্কুলে যেতে বাচ্চারা উচ্ছ্বসিত। স্কুলে যাওয়ার জন্য আজ সকালেই ঘুম থেকে উঠেছে। তবে বাচ্চারা এই গরমের মধ্যে স্কুলে আসা-যাওয়া ও শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। স্কুল বন্ধ রাখা হলে পড়াশোনার ক্ষতি হবে। স্কুল বন্ধ না রেখে সময়সূচি পরিবর্তন করার জন্য দাবি জানান তিনি। 

অভিভাবক সোহেল রানা বলেন, মেয়ে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। অনেক দিন পর স্কুল হওয়ায় খুবই খুশি। তবে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমের মধ্যে স্কুলে আসা-যাওয়া বাচ্চার জন্য সমস্যা। আমরা বড়রা গরম সহ্য করতে পারলেও বাচ্চাদের পক্ষে তা সম্ভব না। গরমের মধ্যে হয় স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হোক অথবা সময়সূচি পরিবর্তন করে আরো সকালে চালু করা হোক। এতে সবার জন্যই সুবিধা হবে।

নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ে দিবা ও প্রভাতী মিলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২২শ’ জন। দীর্ঘদিন পর স্কুল চালু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রাণে জায়গা স্কুল। শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে স্কুলে এসেছে। 

তিনি আরো বলেন, শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে প্রচণ্ড তাবদাহ বা গরমের মধ্যে ক্লাসের শিডিউল পরিবর্তন করে সকালে স্কুল চালু করা গেলে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য সুবিধা হয়।