• ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ (১৭ মে)। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বিপদগামী একদল সেনা কর্মকর্তা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এ সময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। এমন এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। অবশেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। জনগণের ভালোবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ মোট চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে- ১৭ মে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময়। বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীগণ বক্তব্য রাখবেন। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও দেশব্যাপী সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।

বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে প্রতিবেদন দিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানা সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণে যান। সেখান থেকে ফেরার পর তাদের প্রশিক্ষণের ধরন অনুযায়ী প্রকল্পে নিয়োগ দিতে বলেছেন। এ ছাড়া যাদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বলেন, চলতি অর্থবছরে ৩০ জুনের মধ্যে ৩৫৬টি প্রকল্প শেষ হবে। যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ প্রকল্প এক অর্থবছরে শেষ হচ্ছে। এ ছাড়া এবার এডিপিতে ৪ হাজার কোটি টাকা সরকারি খরচ কমেছে। বিদেশি অর্থায়ন ৬ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। মোট এডিপি বেড়েছে ২ হাজার কোটি টাকা।

পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন

পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৫ কিলোমিটার অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এসব লাইনের মাধ্যমে দেড় হাজার অবৈধ সংযোগ চলতো বলে জানিয়েছে তিতাস। অভিযানে রাতের আঁধারে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা যাতে লাইন নিতে না পারে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১১টা থেকে থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত অভিযান উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল ফারুক। অভিযানে আলীপুরা, ভিটিকান্দি, পৈক্ষারপাড় গ্রামের ৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস সঞ্চালন লাইট বিচ্ছিন্ন করা হয়। লাইন দুটির মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার অবৈধ সংযোগ চালু ছিল বলে জানিয়েছে তিতাস। তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, বৈধ গ্রাহকের তুলনায় এই এলাকায় অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। এই এলাকায় গ্যাসের সিস্টেম লস প্রায় ৪২ শতাংশ। টানা অভিযান চালিয়ে একের পর এক অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করা হলেও একটি চক্র কৌশলে রাতের আঁধারে অবৈধ সংযোগ চালু করে ফেলছে। বাধ্য হয়ে গত ২৭ এপ্রিল থেকে গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি। এতে কিছু বৈধ গ্রাহক এবং শিল্প কারখানার সাময়িক সমস্যা হলে হচ্ছে। রাতের আঁধারে এখন থেকে কেউ যাতে বিচ্ছিন্ন করার সংযোগ পুনরায় না নিতে পারে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আজ চারটি সিসিটিভি ক্যামেরায় স্থাপন করলাম। পাশাপাশি গ্যাস চুরি প্রতিরোধে শিল্প কারখানার মালিকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুতই বৈধ গ্রাহকরা গ্যাস পাবেন। আরো উপস্থিত ছিলেন তিতাসের মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান,সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক (মিটার অ্যান্ড ভিজিল্যান্স) আতিকুল ইসলাম প্রমুখ। কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া গত ২৭ এপ্রিল থেকে গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে তিতাস। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই উপজেলায় বৈধ গ্রাহকদের তুলনায় অবৈধ গ্রাহকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখেছে। এর আগেও চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এই এলাকায় ২০দিন গ্যাস সরবারহ বন্ধ রেখেছিল তিতাস।

ট্রাফিক পুলিশের ৫ পরিকল্পনায় কমেছে মোহাম্মপুরের যানজট

ট্রাফিক পুলিশের ৫ পরিকল্পনায় কমেছে মোহাম্মপুরের যানজট

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশের এলাকায় যানজট লেগেই থাকত। ফলে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে সাধারণ মানুষের। তবে সম্প্রতি তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের নুতন পরিকল্পনায় কমে এসেছে মোহাম্মদপুরের আগের চিরচেনা যানজট। জানা গেছে, তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন পরিকল্পনার ট্রায়ালের মাধ্যম মোহাম্মদপুর এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পেরেছে। তাদের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সকল গণপরিবহনের অস্থায়ী পার্কিং অপসারণ। ২. বসিলা থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ননস্টপ সার্ভিস চালু করা। ৩. বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলা চার রাস্তার মোড় পর্যন্ত সকল অবৈধ হকার উচ্ছেদ করে শতভাগ রাস্তা যানবাহন চলাচল উপযোগী করা। ৪. বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক বিআরটিসির বাস ডিপো থাকায় বিআরটিসির বাস দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় অপেক্ষা করার সুযোগ না দেওয়া এবং এ সংক্রান্তে কর্তৃপক্ষের সাথে যথাযথ সমন্বয় করা। ৫. মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক নতুন সার্কুলেশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করা। মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডে বসবাসকারী ব্যবসায়ী কাজী আমানুল্লাহ বলেন, আমার স্ত্রী একজন শিক্ষিকা, আমি তাকে প্রতিদিন স্কুলে নামিয়ে দিতে যাই। দীর্ঘ ২২ বছর এই এলাকায় বসবাস করছি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার এমন সুন্দর দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। একদিকে অফিসগামী মানুষ যেমন উপকৃত হচ্ছে, ঠিক তেমনি উপকৃত হচ্ছে মোহাম্মদপুরে অবস্থিত অসংখ্য স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। মোহাম্মদপুরবাসী মোস্তফা কামাল আরিফ বলেন, আমার ছেলে মাহাদি মোস্তফা সেন্ট জোসেফ স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন যাওয়া-আসার সময় চরম একটা হ্যাজার্ড অবস্থা আমাদেরকে এখানে পোহাতে হত। আমার ছেলের ক্লাসে এটেন্ড করাতে হলে আমার বাসা থেকে মিনিমাম এক ঘণ্টা সময় নিয়ে বের হওয়া লাগত, সেখানে আমার এখন লাগছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ট্রাফিক-মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল বলেন, আজকের এই অবস্থা শুধু একদিনের ফসল নয়, আমরা ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগ অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন কৌশল নিয়ে কাজ করছি। ক্রমাগত প্রচেষ্টা এবং নিরলসভাবে লেগে থাকায় নতুন ট্রাফিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলো, যার সুফল এখন নগরবাসী পাচ্ছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নতির স্বার্থে বাসস্ট্যান্ডর অপ্রয়োজনীয় বিষয়াদি অপসারণ করে রাস্তা ও ইন্টারসেকশন প্রশস্ত করার উদ্দেশ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহণ উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে ধরনের লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে আধুনিক গণপরিবহণ চলাচল করে। কিন্তু ঢাকায় লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলে। এগুলো দেখতেও তো খারাপ লাগে। এর চেয়ে ঢাকার বাইরে মফস্সল এলাকাগুলোয় উন্নতমানের গণপরিবহণ চলে। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটিতে মোটরসাইকেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন মোটামুটি সবাই হেলমেট পরেন। কিন্তু ঢাকার বাইরেও একটা নীতি গ্রহণ করা দরকার-‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ (হেলমেট ছাড়া তেল নয়)। সারা দেশে মোটরসাইকেলের চালকসহ দুজনের বেশি বহন করা যাবে না। আর প্রত্যেকের হেলমেট থাকতে হবে। নয়তো জ্বালানি বিক্রি করা যাবে না। এ সময় সড়কে ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি কিভাবে চলাচল করে তা বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের কাছে জানতে চান। তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ৪৩ বছর বিআরটিএ কি ঘুমিয়ে ছিল। ঢাকা শহরে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। গাড়িগুলো গরিব গরিব চেহারার। আর ৩০ জুনের মধ্যে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, সারা দেশে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ (ধ্বংস) করতে হবে। বিআরটিএ কত আইন করে, নীতি করে, কাজের কাজ তো কিছু হচ্ছে না। সড়কের যানজট ও দুর্ঘটনা তো কমছে না। তাহলে নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন দেখে লাভ কী? সভায় অংশ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার, যখন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছেন, যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন, তারাও এ রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সড়ক পরিবহণ ও শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান মেয়াদোত্তীর্ণ ও লক্কড়ঝক্কড় গাড়িগুলোকে ডাম্পিং নয়, সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের সুপারিশ করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যোগাযোগ ও অবকাঠামোখাতে ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা মোট বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভাকক্ষে এনইসি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। এনইসি সভাশেষে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার ব্রিফিংয়ে জানান, আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিবি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাকী ১ লাখ কোটি টাকার অর্থায়ন আসবে বিদেশী উৎস থেকে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল এডিবির আকার ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সত্যজিত কর্মকার বলেন, ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল এডিপি ছাড়াও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছে। এই অর্থের মধ্যে ১১ হাজার ৬৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা স্থানীয় উৎস্য থেকে এবং ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিদেশী উৎস থেকে আসবে। স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার ব্যয় মিলিয়ে আগামী অর্থবছরে সামগ্রিক এডিপি আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। পরিকল্পনা সচিব বলেন, আগামী অর্থবছরের এডিবিতে ১,৩২১টি প্রকল্প রয়েছে যার মধ্যে ১,১৩৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২১টি সম্ভাব্যতা প্রকল্প, ৮৭টি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্প এবং ৮০টি প্রকল্প স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশন দ্বারা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, এবারের এডিপিতে প্রায় ১,২২৫টি নতুন প্রকল্পের মধ্যে ৮০টি পিপিপি প্রকল্প এবং ৩০০টি প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ খাত, শ্রম-শক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণ সংক্রান্ত প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের মধ্যে রাজধানীর নতুন মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা রেলসেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ চলমান বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্প বরাদ্দের কারণে সার্বিকভাবে এ খাতের বরাদ্দ বেড়েছে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। নতুন এডিপিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা বা মোট বরাদ্দের ১৫ শতাংশের বেশি। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষা খাতে। এ খাতে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা, যা মোট এডিপির প্রায় ১২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে মোটাদাগে ১৫টি খাত ৯৬ শতাংশের বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে। পরিবহন ও যাতায়াত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ছাড়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে গৃহায়ণ খাতে ২৪ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা এবং কৃষি খাত ১৩ হাজার ২১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে

একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে

একক গ্রাহক ঋণসীমায় কোনো শিথিলতা না দেখাতে ব্যাংকগুলোকে আবার নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকের সব গ্রাহকের ক্ষেত্রে (বিদ্যুৎ খাত ছাড়া) ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ও বিদ্যুৎ খাতের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে একক গ্রাহক ঋণ নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছিল। এ বিষয়ে নতুন জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু ব্যাংক থেকে একক গ্রাহক বা গ্রুপের ঋণের ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার জন্য আবেদন দাখিল করা হচ্ছে, যা বিদ্যমান সার্কুলারের নির্দেশনার পরিপন্থী। এমন প্রেক্ষাপটে বৃহৎ ঋণর্ঝুকি হ্রাস, করপোরেট সুশাসন সমুন্নত রাখা এবং ঋণ বিতরণে উত্তম চর্চা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে একক গ্রাহক ঋণসীমা কোনোক্রমেই অতিক্রম না করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে। এ ছাড়া বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রুপের আওতা নির্ধারণে বিদ্যমান নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও বলা হয়েছে।

রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার

রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১১ হাজার কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে রপ্তানি নীতিমালার (২০২৪-২৭) খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান রপ্তানিনীতি ২০২১-২০২৪-এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। বৈঠকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে কেনা পদ্ধতির সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর আগে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টিসিবির জন্য মসুর ডাল, সয়াবিন তেল এবং কৃষকের সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে বুধবার দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন। অনুমোদিত রপ্তানি নীতিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া রপ্তানি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক কৌশল নেওয়া হয়েছে। সার আমদানি : রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কানাডা, কাতার, সৌদি আরব এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে এক লাখ ৭০ হাজার টন সার আমদানি ও ক্রয় করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৬৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন এমওপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি টনের মূল্য ২৮৫ মার্কিন ডলার। সৌদি আরব মা আদেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ২২৮ কোটি টাকা। প্রতি টনের মূল্য ৫১৯ মার্কিন ডলার। কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৮৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। মসুর ডাল ক্রয় : ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০২ কোটি টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম ধরা হয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। এর মধ্যে ইজি জেনারেল ট্রেডিং থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন এবং নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে ৪ হাজার মেট্রিক ডাল কেনা হবে। এছাড়া শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হবে ১০ হাজার মেট্রিক টন। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৪ কোটি টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা। রাজশাহীর মেসার্স সালমান খুরশীদের কাছ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন এবং খুলনার শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬১ কোটি টাকা। প্রতি কেজির ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৫২ টাকা। অপর প্রস্তাবে মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড থেকে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার বিষয় অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের দাম পড়বে ১৪৮ দশমিক ৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৫২ টাকা। খুলনায় বিদ্যুতের উপকেন্দ্র : বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্পের আওতায় খুলনা বিভাগে ৫টি লটে ২৫টি নতুন উপকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যয় হবে ৬০৮ কোটি টাকা। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্যে যশোর ও ঝিনাইদহে ৫টি করে ১০টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যয় হবে ২২৮ কোটি টাকা। খুলনায় ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্তকাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১১৪ কোটি টাকা।

৯১ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকলেও, কঙ্গনা জানালেন তার বিশাল অংকের দেন

৯১ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকলেও, কঙ্গনা জানালেন তার বিশাল অংকের দেন

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও সফর শুরু করেছেন কঙ্গনা রানাউত। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তিনি। নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন জোরকদমে। ১ জুন ভোট সেখানে। তার আগে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই হিসাবে দিলেন নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে কত কোটি টাকার দেনা রয়েছে তারও। জানা গেল, প্রায় ৯১ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে কঙ্গনার। নগদ থেকে বাড়ি এবং গাড়ির খতিয়ান জমা দিয়েছেন অভিনেত্রী। কঙ্গনার দেশের তিনটি রাজ্যে জমি বাড়ি রয়েছে। মুম্বাইতে রয়েছে তার তিনটি বাড়ি। একটি বাংলো রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। বছর কয়েক আগে নিজের জন্মভূমি মানালিতে স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করেন। তারও বাজারমূল্য প্রায় ১৬ কোটি। এ ছাড়াও চণ্ডীগড়েও বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। এ ছাড়া মুম্বাইয়ে নিজের প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। কঙ্গনা হলফনামায় জানিয়েছেন তার প্রায় সাড়ে ৬ কেজি গয়না রয়েছে। রুপা রয়েছে প্রায় ৬০ কেজির মতো। যার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ রূপি। এছাড়াও ব্যাংকে রয়েছে ১.৩২ কোটি টাকা। যার মধ্যে কঙ্গনার কাছে নগদ রয়েছে ২ লাখ টাকা। অভিনেত্রীর বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে, সঙ্গে একটি স্কুটারও আছে। পাশপাশি বাজারে প্রায় ১৭ কোটি টাকার দেনা রয়েছে অভিনেত্রীর। ২০২২-২০২৩ বর্ষে অভিনেত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ৪ কোটি। যদিও চলতি বছরে এর মধ্যেই ১২ কোটি টাকা উপার্জন করে ফেলেছেন তিনি।

শাকিরার গাওয়া সেই গানই হচ্ছে কোপা আমেরিকার থিম সং

শাকিরার গাওয়া সেই গানই হচ্ছে কোপা আমেরিকার থিম সং

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপের থিম সং গেয়েছিলেন কলম্বিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শাকিরা। ২০১০ সালের পর আবারো কোনো ফুটবল টুর্নামেন্টের থিম সং গাইতে যাচ্ছেন এই শিল্পী। আগামী ২১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে কোপা আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এই টুর্নামেন্টের থিম সং হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে শাকিরার গাওয়া ‘পুন্টেরিয়া’ শিরোনামের একটি গান। সম্প্রতি আমেরিকান র‍্যাপার কার্ডি বি’র সঙ্গে একটি গান গেয়েছেন শাকিরা। ‘পুন্টেরিয়া’ নামের গানটি কোপা আমেরিকার থিম সং হিসেবে বিবেচিত হবে। মার্চ মাসে এই গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন শাকিরা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শাকিরা জানিয়েছেন, কোপা আমেরিকার থিম সং হিসেবে ‘পুন্টেরিয়া’ নামক গানটি বেছে নেয়া হয়েছে। ‘লাস মুজেরেস ইয়া নো লোরান’ এর অ্যালবাম থেকে এই গানটি বেছে নেয়া হয়েছে। আগামী এক মাস এই গানটি সকলের মুখে মুখে শোনা যাবে। আগামী ২০ জুন আর্জেন্টিনা ও কানাডার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে কোপা আমেরিকার। যা চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

#

ফেব্রুয়ারিতে চালু ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, যেসব সুবিধা হবে

#

এবারের নির্বাচন পাতানো ছিল না : কাদের!

#

আগামী সপ্তাহে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল!

#

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ!

#

বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড দিচ্ছে ইসি!